শাইখ আব্দুল কাদির জিলানি রহ. বলেনঃ“যদি কেউ যথাযথভাবে সব নিয়ম মেনেও মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করে, নির্জনতা অবলম্বন করে—তবু শরিয়তে তার জন্য এতটুকু অবকাশ নেই যে, সে জুম’আ ও জামা’আতের নামায ছেড়ে দেবে।” [আল গুনয়াতু: ১/১৭৪ (ইরাকি ছাপা)]
ইমাম শাফিয়ি রহিমাহুল্লাহ তার শিষ্য ইউনুস রহিমাহুল্লাহকে নসীহত করেছিলেন:
“হে ইউনুস! মানুষ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কারণে বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়। আর তাদের সাথে অধিক মেলামেশায় অসৎ সঙ্গীর আনাগোনা বেড়ে যায়। অতএব তুমি এই দুয়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।” [শরহে নাহজিল বালাগাহ: ১০/৫২]
মোল্লা আলি কারী রহিমাহুল্লাহ বলেন:
“গ্রহণযোগ্য হলো মধ্যমপন্থা। সাধারণ মানুষের থেকে নির্জনতা অবলম্বন করবে৷ সৎ লোকদের সঙ্গ নিবে। আর জুম’আ ও জাম’আতে সবার সাথেই শরীক হবে।” [মিরকাতুল মাফাতিহ: ৪/৭৪৩]
.
নবিজি ﷺ-এর হাদীস, সাহাবী এবং তাবিয়ি এবং সালাফদের উক্তি থেকে গৃহিত নির্জনবাস বিষয়ক চমৎকার একটি সংকলন ‘ফিতনার দিনে নির্জনবাস’।